29 Sep 2022
ডেঙ্গু কী এবং এটি কীভাবে ছড়ায়?
ডেঙ্গু একটি ভাইরাসজনিত রোগ, যা প্রধানত এডিস মশার মাধ্যমে মানুষের শরীরে ছড়িয়ে পড়ে। এই মশা সাধারণত ভোরবেলা এবং সন্ধ্যার আগে কামড়ায়। বিশেষ করে বর্ষাকালে জমে থাকা পানিতে এদের প্রজনন বৃদ্ধি পায়, কারণ এডিস মশা পরিষ্কার এবং স্থির পানিতে ডিম পাড়ে। ডেঙ্গু ভাইরাসের সংক্রমণ হলে তা নানা ধরনের উপসর্গ সৃষ্টি করে, যেমন তীব্র জ্বর, মাথাব্যথা, শরীরের নানা স্থানে ব্যথা, গিঁটে ব্যথা এবং চোখের পেছনে ব্যথা।
ডেঙ্গু ভাইরাসের চারটি প্রধান ধরন আছে, যথা: DENV-1, DENV-2, DENV-3, এবং DENV-4। একবার ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হলে শরীরে নির্দিষ্ট ভাইরাসের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি হয়, তবে অন্য ধরনের ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি থেকেই যায়। একাধিকবার ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হলে তা গুরুতর আকার ধারণ করতে পারে, যেমন ডেঙ্গু হেমোরেজিক ফিভার (DHF) বা ডেঙ্গু শক সিনড্রোম (DSS), যা প্রাণঘাতী হতে পারে।
ডেঙ্গুর সাধারণ উপসর্গসমূহ
ডেঙ্গুর উপসর্গ সাধারণত সংক্রমণের ৪ থেকে ১০ দিনের মধ্যে দেখা দেয় এবং তা এক সপ্তাহের বেশি স্থায়ী হতে পারে। ডেঙ্গু জ্বরের কিছু প্রধান উপসর্গ নিম্নরূপ:
উচ্চ মাত্রার জ্বর (১০৪°F বা তার বেশি)
তীব্র মাথাব্যথা
পেশী এবং গিঁটে ব্যথা
চোখের পেছনে ব্যথা
বমি বমি ভাব বা বমি
ত্বকে লালচে ফুসকুড়ি
সাধারণত উপসর্গ দেখা দিলে তা হালকা বা মাঝারি হতে পারে, তবে যদি রোগী ডেঙ্গু শক সিনড্রোম বা ডেঙ্গু হেমোরেজিক ফিভারে আক্রান্ত হয়, তাহলে অবিলম্বে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া প্রয়োজন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধের উপায়
ডেঙ্গু থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হলো মশা নিয়ন্ত্রণ করা। এখানে কিছু কার্যকর পদক্ষেপ দেওয়া হলো, যা ডেঙ্গু প্রতিরোধে সহায়ক হতে পারে:
১. পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা
ডেঙ্গু মশা বংশবিস্তার করতে পরিষ্কার, স্থির পানির প্রয়োজন হয়। তাই বাড়ির আশেপাশে জমে থাকা পানি দ্রুত পরিষ্কার করা উচিত। ফুলের টব, জমে থাকা পানি, খোলা পাত্র, বাথরুমের ফাঁকা স্থান, এবং আবর্জনার ড্রামগুলো নিয়মিত পরিষ্কার করতে হবে।
২. মশারোধক ব্যবহার
বাইরে গেলে সবসময় মশারোধক লোশন বা স্প্রে ব্যবহার করুন। এতে এডিস মশার কামড় থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব। বিশেষ করে দিনের বেলা বাইরে গেলে এ ধরনের প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি।
৩. মশার জাল বা নেট ব্যবহার
শোবার ঘর এবং জানালায় মশার জাল বা নেট ব্যবহার করে ঘরের ভেতরে মশার প্রবেশ প্রতিরোধ করতে হবে। বিশেষ করে শিশু এবং বৃদ্ধদের শোয়ার জায়গায় মশার জাল ব্যবহার করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
৪. পানির পাত্র ঢেকে রাখুন
আপনার ঘরের আশেপাশে থাকা যেকোনো পানির পাত্র, যেমন পানির ট্যাঙ্ক, বালতি, বা খোলা বোতলগুলো ঢেকে রাখুন যাতে মশা সেখানে ডিম পাড়তে না পারে। এডিস মশা জমে থাকা পানিতে বংশবিস্তার করে, তাই পানির উৎসগুলো নিয়মিত পরিষ্কার রাখা উচিত।
৫. জমে থাকা পানি পরিষ্কার করা
ডেঙ্গু মশার বিস্তার ঠেকাতে বাড়ির আশেপাশে জমে থাকা পানি সরিয়ে ফেলুন। বিশেষ করে বৃষ্টির সময় ফুলের টব, ড্রেন বা ফাঁকা পাত্রগুলোতে পানি জমতে দেবেন না। এমনকি ছোট ছোট পানি জমার স্থানও মশার প্রজননক্ষেত্র হতে পারে।
ডেঙ্গু আক্রান্ত হলে করণীয়
ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হলে অবিলম্বে সঠিক চিকিৎসা নেওয়া জরুরি। যদিও ডেঙ্গুর জন্য কোনো নির্দিষ্ট ওষুধ বা প্রতিষেধক নেই, তবে কিছু পদক্ষেপ অনুসরণ করলে রোগী দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠতে পারে।
১. বিশ্রাম এবং পর্যাপ্ত পানি পান করুন
ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হলে শরীরে প্রচুর পরিমাণে পানি এবং অন্যান্য তরল পদার্থের প্রয়োজন হয়। ফলে রোগীকে স্যালাইন, পানি, এবং ফলের রস খাওয়াতে হবে। পাশাপাশি, পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিতে হবে যাতে শরীর দ্রুত সেরে উঠতে পারে।
২. জ্বর নিয়ন্ত্রণে ওষুধ ব্যবহার করুন
ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হলে প্যারাসিটামল বা অন্যান্য জ্বর কমানোর ওষুধ ব্যবহার করা যেতে পারে। তবে কোনো অবস্থাতেই অ্যাসপিরিন বা আইবুপ্রোফেন ব্যবহার করা উচিত নয়, কারণ এগুলো রক্তপাতের ঝুঁকি বাড়াতে পারে।
৩. চিকিৎসকের পরামর্শ নিন
যদি উপসর্গ গুরুতর হয়ে ওঠে, যেমন প্রচণ্ড পেটে ব্যথা, রক্তক্ষরণ, অথবা ডেঙ্গু শক সিনড্রোমের লক্ষণ দেখা দেয়, তাহলে অবিলম্বে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া প্রয়োজন। ডেঙ্গু শক সিনড্রোম বা ডেঙ্গু হেমোরেজিক ফিভার খুবই বিপজ্জনক, তাই যথাসময়ে চিকিৎসা নেওয়া অপরিহার্য।
গুলশান ক্লিন এন্ড কেয়ারের ডেঙ্গু প্রতিরোধে ভূমিকা
ডেঙ্গু প্রতিরোধে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার গুরুত্ব অপরিসীম। গুলশান ক্লিন এন্ড কেয়ার, ঢাকা শহরের অন্যতম পরিচ্ছন্নতা সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে, আপনার বাড়ি বা অফিসকে মশামুক্ত রাখতে বিশেষজ্ঞ পরিষেবা প্রদান করে আসছে। আমরা ডেঙ্গু প্রতিরোধের জন্য উন্নত প্রযুক্তি এবং পদ্ধতি ব্যবহার করি যা আপনার পরিবেশকে নিরাপদ রাখতে সহায়ক হবে।
আমাদের অভিজ্ঞ দল আপনার বাড়ি এবং অফিসের আশেপাশে জমে থাকা পানির উৎস পরিষ্কার করে মশার প্রজনন ঠেকাতে কাজ করে। ডেঙ্গু প্রতিরোধে আমাদের বিশেষ পরিষেবাগুলো নিম্নরূপ:
বাড়ি ও অফিস পরিস্কার সেবা:
আপনার বাড়ি এবং অফিসে জমে থাকা পানির উৎসগুলো পরিষ্কার করে মশার প্রজনন ঠেকাতে আমরা সেবা প্রদান করি। বিশেষত বর্ষার সময় জমে থাকা পানির স্থানগুলো নিয়মিত পরিষ্কার রাখা অপরিহার্য।
পেস্ট কন্ট্রোল সেবা:
এডিস মশা এবং অন্যান্য ক্ষতিকারক পোকামাকড় নিয়ন্ত্রণে আমরা পেশাদার পেস্ট কন্ট্রোল সেবা প্রদান করি। আমাদের পেস্ট কন্ট্রোল সেবা বিশেষায়িত ও কার্যকর, যা মশার লার্ভা ও প্রাপ্তবয়স্ক মশা উভয়কে ধ্বংস করতে সক্ষম।
মশার লার্ভা নিয়ন্ত্রণ সেবা:
আমরা মশার লার্ভা ধ্বংস করার জন্য বিশেষ কেমিক্যাল ব্যবহার করি, যা আপনার বাড়ি ও আশেপাশে মশার বংশবিস্তার রোধে সহায়ক। এর মাধ্যমে ডেঙ্গু বহনকারী মশার সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে কমিয়ে আনা সম্ভব।
পরিবেশবান্ধব সেবা:
আমাদের পরিষেবাগুলো পরিবেশবান্ধব এবং আপনার পরিবারের সদস্যদের জন্য নিরাপদ। আমরা এমন কেমিক্যাল ব্যবহার করি যা ক্ষতিকারক মশা এবং পোকামাকড় ধ্বংস করে, তবে আপনার পরিবারের সদস্য এবং পোষা প্রাণীদের কোনো ক্ষতি করে না।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে আপনার করণীয়
আপনার পরিবারের স্বাস্থ্য ও সুরক্ষা নিশ্চিত করতে ডেঙ্গু প্রতিরোধে সচেতন থাকা অত্যন্ত জরুরি। মশা নিয়ন্ত্রণ এবং পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখার মাধ্যমে আপনি ডেঙ্গু থেকে নিজেকে এবং আপনার পরিবারকে রক্ষা করতে পারেন।
যোগাযোগ করুন
আপনার বাড়ি বা অফিসকে মশামুক্ত রাখতে গুলশান ক্লিন এন্ড কেয়ারের পেশাদার সেবা গ্রহণ করুন। আমাদের দক্ষ টিম পরিবেশ বান্ধব পদ্ধতি ব্যবহার করে ডেঙ্গু প্রতিরোধে
Leave A Comment
Your email address will not be published. Required fields are marked *